Posts

কলেজ প্রেম ০2

Image
# প্রেম 2 বিষ্ণুপুর ও তো কৃষ্ণের স্থান ওখানে গেলে প্রেম পিরিতি করবে , সুধেন বাবু দীপের বাবার উদ্দেশে এই কথাটি বলে পান খাওয়া দাঁতে একটা হাসি দিলেন । না আসলে অনেক পুরনো কলেজ আর কলকাতার থেকে জেলার কলেজে পড়াশুনা ভালো হবে তাই তো দীপ কে ওখানে ভর্তি করালাম। কথাকটি বলে দীপের বাবা দীপের দিকে তাকিয়ে বললেন কিরে পড়াশুনা ছাড়া অন্য কোনদিকে নজর দিলে কিন্তু সেদিনই কলেজ ছাড়িয়ে দেব । ছোটবেলা থেকেই দীপ জানত বাবা এক কথার মানুষ তাই মনের মধ্যে এটা মেনে নিয়েছিল কেজি তে পড়ার সময় পড়াশুনা ছাড়া অন্য দিকে নজর দিলে মুশকিল। সেই ভেবেই সে পা দিলো নতুন কলেজে, কেজি কলেজ বিষ্ণুপুরে। বাবার এক বন্ধুর বাড়িতে থাকে,যদিও বাবার বন্ধুর পরিবারের কেউ সেখানে থাকে না।ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করে রেখেছেন। তাই একা বাড়িতে এসে সে বেশ বিচলিত হল। কিন্তু বাবা তাকে কিছুতেই মেস বা হোস্টেল থাকতে দেবেন না। অগত্যা সে জীবনের মধুর দিনগুলো উচ্ছলতার দিনগুলো কোনরূপ রসাস্বাদন না করে মুখ গুমরে পরে রইলো। সারাদিন কলেজের ক্লাস দিনের শেষে থাকার জায়গায় এসে পড়াশুনা তারপর হোটেল গিয়ে খাওয়াদাওয়া। আর ঘুম। সপ্তাহ অন্তে বাড়ি যাওয়া আব...

প্রেম নতুন গল্প

Image
#প্রেম #নতুন_গল্প ওহ হ্যালো , পিছন থেকে সুরেলা কন্ঠস্বর শুনে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো অনিকেত। একটু আগেই মেয়েটিকে বাম দিক থেকে বাজেভাবে  ওভারটেক করে এসেছে।  কোনো বাজে উদ্দেশে সেটা করেনি , আসলে আজ ইন্ডিয়া শ্রীলংকার ফাইনাল ম্যাচ।  সেটা দেখার জন্য তাড়াতড়ি সাইকেল চালিয়ে  স্টেশন থেকে মেসের দিকে আসছিলো সে।  বটতলার কাছে এসে মেয়েটিকে ওভারটেক এমন ভাবে করেছে যে হয়তো মেয়েটি পরে যেত।  তাই মেয়েটি পিছন থেকে ডেকেছে। সামনে এসে দাঁড়ালো মেয়েটি মুখ ঢাকা ববি প্রিন্টার ওড়না দিয়ে।  গভীর এবং টানাটানা দুটি চোখ , যখন রাস্তায় সাইকেল চালাতে  জানোনা তখন বেরও কে। কিছুটা অপ্রস্তুতে পরে গিয়েছিলো অনিকেত কি বলবে কিছুই বুঝতে পারলো না ,গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ ও বেরোলো না। যদিও কান দুটো পুরো লাল হয়ে গিয়েছিল। মেসে এসে দেখলো খেলা শুরু হয়ে গেছে ব্যাট করছে সহবাগ আর সচিন , শাহবাগের একটা বাউন্ডারি তে পুরো মেসে ভোরে উঠছে চিৎকার আর কোলাহলে।  অন্য সময় হলে অনিকেতের চিৎকার সবচেয়ে বেশি সোনা যেত কিন্ত আজ কেমন যেন চুপচাপ অনিকেত , কেমন যেন বিষন্ন।  তার কানে বাজছে একটাই কথা , ওহ হ্...

কলেজ প্রেম ০১

#প্রেম ১ আজ তোমাদের শোনাবো সোমার কাহিনী, কে এই সোমা কেনোই বা সে হটাৎ করে অরকুট থেকে বিদায় নিয়েছিল।।।। তার গল্প টা জানতে হবে বৈকি।।। আচ্ছা তার মুখেই শুনি তার কাহিনী।। আমি সোমা ব্যানার্জী, সোনামুখী তে বাড়ি ।।। বাবা সামান্য দোকানদার ।। ছোট ভাই মা বাবা কে নিয়ে আমার সংসার ।। ছোটবেলা থেকেই আমলা হবার স্বাদ লালন করতাম অন্তরে কিন্তু বাধ সাধলো শারীরিক অসুস্থতা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারলাম না।।। একটা বছর নষ্ট হবে ভেবে পলি ৪০ দিয়ে ভর্তি হলাম কেজিতে।।।। বিষ্ণুপুর বাড়ি থেকে দূরত্ব বেশি না হলেও মেসে থাকলাম। রোজকার যাতায়াতের শারীরিক ধকল থেকে বাঁচতে।।। প্রথম দিনে কলেজে যেমন তেমন করে কাটলেও বেশ বুঝতে পারছিলাম বেশ অনেক সিনিওর আমার দিকে বেশ তাকিয়ে থাকছে। ক্লাসমেট রাও দেখছে কিন্তু মনে হয় ভয় পাচ্ছে যদি সিনিওর দের।।। আজ কেজিতে আমার সাত দিন পূর্ণ হলো।। ইতি মধ্যে ৭ জন আমাকে প্রপোজ করেছে ।।। তার মধ্যে ৫ জন সিনিওর আর ২ জন সহপাঠী।।।। কিন্তু সবাই ওই প্রেম করতে হয় বলে বা কলেজ উঠেছি প্রেম করবো না,,এই ভাবনা নিয়ে প্রেম করছে । কারোর চোখ আমার সাথে কথা বলার সময় আর চোখের দিকে স্থির ...